
এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে চুরি ও মাদক মামলার এক আসামী নিহত হয়েছে। নিহতের নাম রাব্বি হোসেন চঞ্চল (২০)। সে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া মান্নানের এলাকার জাহিদুল ইসলামের পুত্র। মাদকসেবী চঞ্চল চুরি করতে গিয়ে গণপটিুনির স্বীকার হয়েছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ গণপিটুনিতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত চঞ্চলের নামে দুটি চুরি ও দুটি মাদকের মামলা রয়েছে।
ওসি আসাদ নিহতের আত্মিয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, শনিবার দিবাগত রাতে সন্দেহজনক অবস্থায় চঞ্চলসহ ৪ জন ঘোরাফেরা করছিল। এলাকার লোকজন তাদের তাড়া করলে চঞ্চল ধরা পড়ে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে চঞ্চলকে গণপিটুনি দিয়ে সকালে সাঁড়া ইউনিয়ন অফিসে নেওয়া হলে চেয়ারম্যান দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। চঞ্চলের শরীরে হাতুড়ি জাতীয় ভারী জিনিষ দ্বারা আঘাতের গুরুতর জখম রয়েছে জানিয়ে ওসি আরো বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়। ভ্যানে করে বাড়ি নেয়ার পথে অবস্থার অবনতি ঘটলে চঞ্চলকে আবারও হাসপাতালের দিকে নেয়া হয়। পথিমধ্যে মারা গেলে দুপুর দেড়টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকায় লাশসহ ভ্যান ফেলে রেখে লোকজন পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম চঞ্চলকে হাসপাতালে ভর্তি না রেখে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ওসি আসাদ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
সাঁড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রাতে পেটানোর পর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসলে আমি পরিষদ চত্বরে ধুকতে বাধা দেই। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেই। এখন শুনছি ওই ছেলে মারা গেছে। চঞ্চল মাদক ও চুরির মামলার আসামী বলে তিনিও জানিয়েছেন।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: সাদিয়া জানান, সকাল নয়টার দিকে চঞ্চলকে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। সেসময় তার অবস্থা গুরুতর ছিলো না, বিধায় ভর্তি করা হয়নি। ডাক্তার জানান, পরে আবারও তাকে মারপিট করা হয়েছে বলে চঞ্চলের আত্মিয়দের কাছে শুনেছি। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে চঞ্চলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান তিনি।