পাকশী বিভাগীয় অফিসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু
টিটিই শফিকুলের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার

এবিষয়ে বরখাস্তকৃত টিটিই শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের মাধ্যমেই প্রথম প্রত্যাহারের খবর জানলাম। তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার জন্য পাকশী বিভাগীয় অফিসে হাজির হয়েছি। এখনই তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে। দেশ ও রেলওয়ের স্বার্থে তদন্ত কমিটি যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে তা মেনে নেব।
এদিকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করার ঘটনায় টিটিই শফিকুলের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। একইসাথে পাকশীর বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শোকজ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। রোববার (৮ মে) সচিবালয়ের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত: ৫ মে রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের দুই শ্যালকসহ তিন জনের বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের সময় টিকিট বানিয়ে দেওয়ার ঘটনায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। টিটিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ যাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণের। টিটিই মো. শফিকুল ইসলাম রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদীর টিটিই হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যুক্ত। টিটিই শফিকুল ইসলাম পাকশী বিভাগীয় রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (এসিও) নুরুল আলমের পরামর্শে এসি কেবিনের টিকিটের পরিবর্তে মোট ১ হাজার ৫০ টাকা সুলভ শ্রেণির ভাড়া নিয়ে টিকিট বানিয়ে দিলে রোষানলে পড়েন। তবে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা রেলমন্ত্রীর আত্মীয় নন বলে শনিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী দাবি করেছিলেন।
এ ঘটনায় ইমরুল কায়েস প্রান্ত লিখিতভাবে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে টিকিট না দিয়ে অনৈতিকভাবে ৫০০ টাকা করে তিন জনের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণের অভিযোগ করেছেন। প্রান্ত আরো অভিযোগ করেন, টিটিই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং লাথি মেরে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেন। কাউন্টারে টিকিট না পাওয়ায় তাড়াহুরো করে তারা এসি কেবিনে উঠে পড়েন বলে প্রান্ত দাবি করেন।